স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাত শিবিরের আপডেট ভার্সন এবি পার্টি, বিডিপি, রাষ্ট্র সংস্কার, গণ অধিকার পরিষদ এর আবেদন বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি লীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আলটিমেটাম:

0
31

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাত-শিবিরকে বিভিন্ন নামে-বেনামে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেয়ার অপচেষ্টা বন্ধসহ ইসি আলমগীর হোসেনের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে আজ ১লা নভেম্বর মঙ্গলবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি লীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এর সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ নূর মোহাম্মদ হৃদয়।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের অন্যতম সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বাংলাদেশ আওয়ামী বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ নূর মোহাম্মদ হৃদয় ও সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি গুলজার আহমেদ সজল, সহ সভাপতি মোঃ রজিব হোসেন জসিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক সিমান্ত হোসেন সহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ আওয়ামী বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ নূর মোহাম্মদ হৃদয় বলেন, “একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাত-শিবিরের আপডেট ভার্সন এবি পার্টি, বিডিপি, রাষ্ট্রসংস্কার, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী পরিষদ নামক রাজনৈতিক দোকানের নিবন্ধনের আবেদন বাতিল করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মেনে এদেশে সকল রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করতে হবে। বিএনপিসহ গণতন্ত্র মঞ্চ নামক কতিপয় রাজনৈতিক দোকানগুলো এখনও পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মেনে নেয়নি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করার শামিল। যেসব দল বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মানবে না তারা প্রকৃতপক্ষে দেশ ও জাতির শত্রু। এরা একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানের পেত্মাত্মা ও রাজাকার-আলবদরদের দোসর। বাংলাদেশে এদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। নির্বাচন কমিশনের নিকট আহবান, অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের আগুন সন্ত্রাস, সম্প্রতি রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র করার অপরাধে বিএনপি নামক অগ্নি সন্ত্রাসী দলের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। সম্প্রতি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাত-শিবিরকে বিভিন্ন নামে-বেনামে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেয়ার অপচেষ্টা বন্ধসহ ইসি আলমগীর হোসেনের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি লীগ । উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। আবার জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন নামে-বেনামে নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। শুধু শর্ত পূরণ করলেই নিবন্ধন দেয়া যাবে না। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আদর্শ দেখতে হবে। যেসব রাজনৈতিক দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানে না তাদের রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। শর্ত পূরণ করলে যেকোন দলকে নিবন্ধন দেয়া হবে বলে ইসি কমিশনার আলমগীর হোসেন যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে জাতির সামনে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান পরিস্কার করতে হবে। আমরা এখনো বিশ্বাস করি, এধরনের বক্তব্য ইসি কমিশনার আলমগীর হোসেনের ব্যক্তিগত বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের নয়। ইসি কমিশনার আলমগীর হোসেনের বক্তব্য প্রত্যাহার ও নির্বাচন কমিশন তাদের অবস্থান পরিস্কার না করলে খুব শীঘ্রই নির্বাচন কমিশন ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি লীগ ।”

মুক্তি যুদ্ধ মঞ্চের সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাত সমগ্র দেশে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে নিরীহ মানুষদেরকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল। বিএনপি-জামাতের এসব সন্ত্রাসীদের বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। চখা রাজাকার পুত্র মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ইসি কমিশনার আলমগীর হোসেনকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দলের নিবন্ধনের প্রশ্ন তার অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। জামাত-শিবিরকে বিভিন্ন নামে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেয়ার অপচেষ্টা করলে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলনসহ নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছিল। এই বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সবসময় মাঠে থাকবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। অবৈধ সামরিক শাসক খুনী জিয়া কর্তৃক বিনা বিচারে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারকে ও সৈনিককে হত্যার অপরাধে খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার করতে হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সম্প্রতি খালেদা ও তারেককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আখ্যা দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে চরমভাবে অবমাননা করেছেন। মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির নেতারা মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করার অপরাধে মির্জা ফখরুলকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। বিএনপি থেকে মির্জা ফখরুলকে বহিষ্কার না করে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও অগ্নি সন্ত্রাসী দল বিএনপির রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল না করলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।”

বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারী সন্ত্রাসী দল বিএনপিকে দ্রুত নিষিদ্ধসহ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের আগুন সন্ত্রাসীদের বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। ঠাকুরগাঁওয়ের চখা রাজাকারের পুত্র মির্জা ফখরুল সম্প্রতি তারেক ও খালেদাকে মুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিয়ে আমাদেরকে চরমভাবে অপমান করেছে। রাজাকার পুত্র মির্জা ফখরুলকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। বিডিপি নামক জামাতী দলকে নিবন্ধন দেয়ার প্রসঙ্গে ইসি কমিশনার আলমগীর হোসেনের বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী। অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে এবিষয়ে তাদের অবস্থান পরিস্কার করতে হবে। অন্যথায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চকে সাথে নিয়ে নির্বাচন কমিশন ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে।”

বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির আহমেদ জালাল বিচ্ছু জালাল বলেন, “বিএনপি-জামাত নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছিল। বিএনপি এখন স্বাধীনতা বিরোধীদের দলে পরিণত হয়েছে। রাজাকার পুত্র মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে তা প্রমাণিত হয়েছে। পাকিস্তানের আইএসআই গুপ্তচর জিয়া কখনোই বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন না। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী খুনী জিয়ার তৈরী বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশে বিএনপি রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছি কিন্তু ট্রেনিং জমা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আহবানে প্রয়োজনে আবার স্বাধীনতা বিরোধীদের নির্মূল করতে মাঠে নামবে বীর মুক্তিযোদ্ধা। নিষিদ্ধ জামাতকে বিভিন্ন নামে এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবো।”

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে