মনজুরুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ
নাটোরে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে এসে গণধর্ষনের শিকার হয়েছে এক তরুনী। গতরাত ১ টার দিকে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় একটি বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষক ও দুই সহযোগী সহ মোট ৫ জনকে আটক করে। আটককৃত ধর্ষকরা শহরের কানাইখালী মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে রনি আহমেদ, মহম্মদ আলীর ছেলে রকি ইসলাম, ও আব্দুল মজিদের ছেলে সোহান আহমেদ, সহযোগিরা নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মৃদুল আহমেদ ও তার স্ত্রী মৃথিলা খাতুন।
নাটোর সদর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানায় , রাজশাহী জেলার মতিহার এলাকা থেকে প্রেমিক আবির হোসেনের সাথে দেখা করতে নাটোরে আসে এই তরুনী প্রেমিকা। রাতে আবির তার প্রেমিকাকে নিয়ে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় তার পরিচিত মৃথিলা ও তার স্বামী মৃদুলের ভাড়া বাসায় যায়। সেখানে রাত্রী যাপনের জন্য ভাড়া নিয়ে বনিবনা না হলে প্রেমিক প্রেমিকা ফিরে আসতে চায়। এ সময় মৃথিলা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রনি, রকি ও সোহানকে খবর দেয়। পরে মৃথিলা ও তার স্বামীর সহোযোগিতায় তারা তিনজন আবিরকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তরুনীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে চলে যায়। পরে রাত দেড়টার দিকে প্রেমিকা থানায় হাজির হয়ে তাকে ধর্ষন করা হয়েছে জানালে পুলিশ অভিযান চালায় হাফরাস্তা এলাকার সাগর হোসেনের বাসার ভাড়াটিয়া মৃথিলা ও মৃদুলকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যেমতে সদর উপজেলার আমহাটি এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা বিলের মধ্যে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাদের পিছু ধাওয়া করে সকালে তেলকুপি মদনহাট বিল থেকে রনি, রকি ও সোহানকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের সাথে পুলিশের ধস্তধস্তীর ঘটনাও ঘটে। এদিকে ঘটনার পর থেকে প্রেমিক আবির হোসেনের কোন খোঁজ পাচ্ছেনা পুলিশ। ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য নাটোর সদও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।